Wellcome to National Portal
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সনদ ও ঘোষণা

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক সনদ ও ঘোষণাসমূহ নিম্নরূপ

 

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs)

১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫, জাতিসংঘ কর্তৃক ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ ২০১৬-৩০’ ঘোষিত হয়েছে। ঘোষনায় ১৭টি লক্ষমাত্রা এবং ১৬৯টি টার্গেট ঘোষণা করা হয়েছে। পৃথিবী থেকে ক্ষুধা ও দারিদ্রতা দূর করা এবং পৃথিবীর সকলের জন্য সমানভাবে বাসযোগ্য করাই এবারের টেকসই উন্নয়নের উদ্দেশ্য।

 

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের দুস্থ, অসহায়, বিপন্ন, প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনে এ মন্ত্রণালয় গুরুত্ব অপরিসীম। পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর একীভুত টেকসই উন্নয়নে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ নিম্নরূপ:-

 

লক্ষ্য-১:     দারিদ্রমুক্ত সমাজ;

লক্ষ্য-২:      ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী;

লক্ষ্য-৩:     সুস্বাস্খ্য ও জীবনমানের উন্নয়ন;

লক্ষ-৪:      সকলের জন্য গুণগত মানসম্মত শিক্ষা;

লক্ষ্য-৫:      নারী-পুরুষ সমতা;

লক্ষ্য-৬:     নিরাপদ পানি এবং টেকসই পয়নিস্কাশন ব্যবস্থা;

লক্ষ্য-৭:      সাশ্রয়ী, টেকসই এবং দূষণমুক্ত জ্বালানী;

লক্ষ্য-৮:     উন্নত ও উপযোগী ককর্মপরিবেশ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সাধন;

লক্ষ্য-৯:     শিল্প উন্নয়ন, উদ্ভাবন এবং সকলের উপযোগী উন্নত অবকাঠামো;

লক্ষ্য-১০:    সর্বক্ষেত্রে বৈষম্য হ্রাস;

লক্ষ্য-১১:     টেকসই নগর ও মানব সম্প্রদায়;

লক্ষ-১২:     দায়িত্বপূর্ণ ভোগ এবং উৎপাদন;

লক্ষ্য-১৩:    জলবায়ু পরিবর্তনে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ;

লক্ষ্য-১৪:     জলজ প্রাণি সংরক্ষণ;

লক্ষ্য-১৫:    স্থল জীব বৈচিত্রের সংরক্ষণ;

লক্ষ্য-১৬:    শান্তি, ন্যায়বিচার, অভিগম্যতা নিশ্চিতকরণ এবং দায়িত্বশীল শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা;

লক্ষ্য-১৭:     লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য অংশীদারিত্ব।

এ ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার প্রত্যেকটির জন্য নির্দিষ্ট কিছু টার্গেট এবং তা অর্জনের সময় নির্ধারণ করা আছে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম দেখতে ক্লিক করুন।

বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

 

সর্বজনীন মানবাধিকার সনদ ১৯৪৮

জাতিসংঘে ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা গৃহীত হয়। এ হচ্ছে সেই গুরুত্বপূর্ণ সর্বজনীন দলিল, যা মানুষের জন্মগত ও সহজাত অধিকারগুলোকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাকে পরে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ফলে এটির আইনগতভাবে অনুসরণ বাধ্যতামূলক। ঘোষণাটিতে বলা হয়েছে যেসব মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন এবং সমমর্যাদা ও অধিকার ভোগ করে। তাদের আছে মুক্ত মন ও বিবেক এবং তারা ভ্রাতৃত্ববোধে আলোকিত হয়ে একে অপরকে সহযোগিতা করে। সর্বজনীন মানবাধিকার সনদে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার, মানুষের যোগ্যতা ও মর্যাদা, নারী-পুরুষের সমঅধিকারের প্রতি অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে এবং বৃহত্তর স্বাধীনতার পরিবেশে উন্নত জীবন ও সামাজিক অগ্রগতির  জন্য কাজ করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। 

বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

 

শিশু অধিকার সনদ ১৯৮৯

মানবাধিকারের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ শিশু অধিকার। ১৯১টি রাষ্ট্র কর্তৃক অনুসমর্থিত হয়ে ১৯৮৯ সালের ২০ নভেম্বর সর্বসম্মতক্রমে গৃহীত হয় জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ। সব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তির মধ্যে এ সনদটি সর্বোচ্চসংখ্যক রাষ্ট্রের সমর্থন পায়। সনদের প্রথম অনুচ্ছেদেই শিশুকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে ‘শিশু বলতে ১৮ বছরের কম বয়সী যেকোনো মানুষকে বোঝাবে’। শিশুর জন্য বৈষম্যহীন অবস্থা, শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থ, শিশুর বেঁচে থাকা ও বিকাশের অধিকার, শিশুদের মতের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ,  পারিবারিক পরিবেশ ও বিকল্প যত্নের ব্যবস্থা,  প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও কল্যাণ, শিক্ষা, অবসর ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে শিশুর অংশগ্রহণের অধিকার ইত্যাদি বিষয় এ সনদের মাধ্যমে নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী, শিশুর কথা শুনতে হবে এবং তার মতামতকে সম্মান জানাতে হবে। শিশু অধিকার সনদ শিশুর মানবাধিকারের ন্যূনতম মান নির্ধারণ করে যা বড়দের চেয়ে শিশুর ক্ষেত্রে বেশী হওয়া উচিত। শিশুর যে অবস্থাই হোক না কেন, যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন, প্রতিটি শিশুর অধিকারের জন্য আন্তর্জাতিক সংগ্রামের ভিত্তি হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে শিশু অধিকার সনদ। 

বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

 

সবার জন্য শিক্ষার সর্বজনীন ঘোষণা ১৯৯০

১৯৯০ সালের ৯মার্চ জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সবার জন্য শিক্ষার বিশ্বজনীন ঘোষণা করা হয়। মৌলিক শিক্ষার প্রয়োজন পূরণে শিক্ষার যে সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে, তা থেকে শিশু, তরুণ ও প্রাপ্তবয়স্ক-প্রত্যেকেই দেশ ও সংস্কৃতিভেদে ভিন্ন হবে এবং আবশ্যকীয়ভাবে সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে তা পরিবর্তিত হবে। শিক্ষা সাধারণ সাংস্কৃতিক ও নৈতিক মূল্যবোধ সমৃদ্ধ করতে হবে। গরিব, সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য প্রাথমিক শৈশবকালের যত্ন বিস্তার ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ব্যাপ্তি বাড়াতে হবে।

বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

 

জাতিসংঘ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সনদ ২০০৬

জাতিসংঘের সাধারণ পরিসদের ৬১তম অধিবেশনে ১৩ ডিসেম্বর ২০০৬ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সনদ অনুমোদন করা হয়। ৫০টি আবশ্যিক ধারা ও ১৮টি ঐচ্ছিক প্রতিপালনীয় বিধিবিধান সম্বলিত এ সনদ বৈষম্য, উপেক্ষা, দমনপীড়ন আর নির্যাতনের অভিজ্ঞতা থেকে থেকে ওঠে আসা প্রতিবাদ ও সমান অধিকারের দাবির প্রতি সাড়া দিয়ে বেশ কিছু মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এ অধিকার সনদের লক্ষ্য হলো সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পূর্ণ ও সমান মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতাসমূহ চর্চার প্রসার, সুরক্ষা ও সুনিশ্চিতকরণ। তাদের চিরন্তন মর্যাদার প্রতি সম্মান সমুন্নত করা। সাথে সমতার ভিত্তিতে যে কোন ভেদাভেদ, বর্জন অথবা নিষেধাজ্ঞা, যার উদ্দেশ্য বা পরিনতিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণ অন্যান্যদের সাথে সমতার ভিত্তিতে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নাগরিক অথবা অন্য যেকোন ক্ষেত্রের সকল মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতাসমূহের স্বীকৃতির উপভোগ বা অনুশীলনে বাধাগ্রস্ততা বিলোপ সাধন এ সনদের মূল প্রতিপাদ্য। বাংরাদেশ এ অধিকার সনদের ৯১তম রাষ্ট্র হিসেবে স্বাক্ষর এবং ৮ম শরীক রাষ্ট্র হিসেবে অনুস্বাক্ষর করেছে। ৩ মে ২০০৮ থেকে এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন হিসেবে কার্যকর হয়েছে।

বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন।