Wellcome to National Portal
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৬ মে ২০২২

এসিডদগ্ধ ও প্রতিবন্ধী

এসিডদগ্ধ ও প্রতিবন্ধী

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের এসিডদগ্ধ ও নিম্ন আয়ের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। এসিডদগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণাধীন সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশব্যপী সকল উপজেলা ও শহর এলাকায় লক্ষ্যভুক্ত এসিড দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আর্থ-সামজিক উন্নয়ন ও তাদের পরিবার ভিত্তিক দারিদ্র বিমোচনে বিশেষ ভুমিকা রাখছে। ‘এসিডদগ্ধ মহিলা ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কার্যক্রম’ নামে ২০০২-০৩ অর্থ বছর থেকে এ কর্মসূচি শুরু করা হয় এবং এপ্রিল ২০১০ থেকে এ কর্মসূচির নাম পরিবর্তন করে ‘এসিডদগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কার্যক্রম’ করা হয়। এ কার্যক্রম দেশের দরিদ্র এসিডদগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে এসিডদগ্ধ ব্যক্তিদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করাসহ এসিডদগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে তাদের দক্ষতাভিত্তিক অথবা ব্যক্তি যে কাজে অভিজ্ঞ ও পারদর্শী সে কাজের জন্য তাকে অথবা তার পরিবারকে ক্ষুদ্রঋণ সহায়তা প্রদান করাই এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য।

 

এ কর্মসূচিতে একজন এসিডদগ্ধ দরিদ্র ব্যক্তিকে এককালীন ৫,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত অনুদান প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া এসিডদগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যাদের মাথাপিছু বার্ষিক গড় আয় ৬০,০০০ টাকার ঊর্ধ্বে নয় তাকে ৫,০০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে। ঋণ গ্রহণের পর ৫% সার্ভিসচার্জসহ সমান ২০ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।

সেবা:

৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা ক্ষুদ্রঋণ;

এসিডদগ্ধ দরিদ্র ব্যক্তিকে এককালীন ৫,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত অনুদান

 

সেবা গ্রহীতা:

নিম্ন আয়ের এসিড দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যাদের মাথাপিছু বার্ষিক গড় আয় ৬০,০০০ টাকার ঊর্ধ্বে নয়

 

কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টগণ:

সমাজসেবা অধিদফতরের কার্যক্রম শাখা এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে থাকে। পরিচালক (কার্যক্রম) এর নেতৃত্বে একজন অতিরিক্ত পরিচালক, একজন উপপরিচালক, ১ জন সহকারী পরিচালক, ২ জন উপসহকারী পরিচালক, ১ জন সমাজসেবা অফিসার সদর দপ্তর পর্যায়ে এবং মাঠপর্যায়ে ৪৮৯ জন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও ৮০ জন শহর সমাজসেবা অফিসার এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট। জেলা পর্যায়ের ৬৪টি জন উপ-পরিচালক ও ৪২ জন সহকারী পরিচালক মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম তদারকি এবং মাঠ পর্যায় ও সদর দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে থাকেন। মাঠ পর্যায়ে উপজেলার কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটি কার্যক্রম বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটির যথাক্রমে সদস্য-সচিব ও সভাপতি হিসেবে কাজ করেন। সিটি কর্পোরেশন ও জেলা পর্যায়ের পৌর সভায় সমাজসেবা অফিসার, শহর সমাজসেবা অফিসার সদস্য-সচিব এবং উপ-পরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি হিসেবে কাজ করেন। এছাড়াও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা স্টিয়ারিং কমিটি এবং সচিব সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি কার্যক্রমের পরিকল্পনা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করে থাকে।

 

সেবাদান কেন্দ্র:

৪৮৯টি উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়;।

৮০টি শহর সমাজসেবা কার্যালয়।

 

কার্যাবলি:

এসিডদগ্ধ ও প্রতিবন্ধী জরিপ;

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তালিকাভূক্তি

বৃত্তিমূলক/সামাজিক ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন

স্কীমসহ জন্য নির্ধারিত ফর্মে আবেদন

স্কীম এর সম্ভব্যতা যাচাই

উপযুক্ত ঋণ গ্রহীতা নির্বাচন;

সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান;

 

নাগরিকদের সহযোগিতার ক্ষেত্র:

সুবিধাভোগী কর্তৃক ঋণ প্রাপ্তির পর ৬ষ্ঠ মাস হতে সমান ১০ কিস্তিতে অথবা স্কীম ভেদে ১, ২ বা ৩ কিস্তিতে ঋণের অর্থ শতকরা ৫ ভাগ সার্ভিসচার্জসহ ফেরত দেয়া;

দলীয় সদস্য কর্তৃক নিয়মিত নির্ধারিত হারে সঞ্চয় করা;

কার্যক্রমের মাধ্যমে সদস্যদের যে সকল বিষয়ে সচেতন করা হয় তা মেনে চলা;

কোন সুবিধাভোগী প্রাপ্ত ঋণের অর্থ নিয়মমত পরিশোধ না করলে তা আদায়ে কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা;

সঠিক গ্রাম/মহল্লা ও উপযুক্ত ঋণ গ্রহীতা নির্বাচনে কর্তৃপক্ষকে তথ্য সরবরাহ ও সহযোগিতা;

ঋণ প্রদানে কোন অসচ্ছতা পরিলক্ষিত হলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট অবহিত করা।

 

সেবা প্রদানের সময়সীমা:

কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটির কর্তৃক উপযুক্ত ঋণ গ্রহীতা নির্বাচন পর ১৫ কর্ম দিবস;

পুনবিনিয়োগ/২য়/৩য় পর্যায়ের ঋণ প্রদান, নির্বাচন পর ১০ দিন।

 

যার সাথে যোগাযোগ করতে হবে:

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার, সকল উপজেলা;

সমাজসেবা অফিসার, সকল শহর সমাজসেবা কার্যালয়;