হিজড়া জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ হলেও আবহমান কাল থেকে এ জনগোষ্ঠী অবহেলিত ও অনগ্রসর গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। সমাজে বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার এ জনগোষ্ঠীর পারিবারিক, আর্থসামাজিক, শিক্ষা ব্যবস্থা, বাসস্থান, স্বাস্থ্যগত উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সর্বোপরি তাদেরকে সমাজের মূল স্রোতধারায় এনে দেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদেরকে সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে সরকার এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সমাজসেবা অধিদফতরের জরিপমতে বাংলাদেশে হিজড়ার সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।
২০১২-২০১৩ অর্থ বছর হতে পাইলট কর্মসূচি হিসেবে দেশের ৭টি জেলায় এ কর্মসূচি শুরু হয়। ৭টি জেলা হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, পটুয়াখালী, খুলনা ,বগুড়া এবং সিলেট। ২০১২-১৩ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল ৭২,১৭,০০০/- (বাহাত্তর লক্ষ সতের হাজার) টাকা। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে নতুন ১৪ টি জেলাসহ মোট ২১টি জেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে এবং জেলাগুলো হচ্ছে ঢাকা, গাজীপুর, নেত্রকোণা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষীপুর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, কুমিল্লা, বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, সিলেট। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৪,০৭,৩১,৬০০ (চার কোটি সাত লক্ষ একত্রিশ হাজার ছয়শত টাকা)। ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরের কর্মসূচির বরাদ্দ ৪,৫৮,৭২,০০০.০০ (চার কোটি আটান্ন লক্ষ বাহাত্তর হাজার) টাকা। আরো ১৪ জেলা এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলাগুলো হচ্ছে নারায়নগঞ্জ, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, কক্সবাজার, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নীলফামারী, গাইবান্ধা, বরিশাল, বাগেরহাট, যশোর, হবিগঞ্জ এবং মৌলভীবাজার। ক্রমান্নয়ে এ কার্যক্রম দেশব্যাপী সম্প্রসারণ করা হবে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেট ৫.৫৬ কোটি টাকা
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :
পরিসংখ্যান
অর্থবছর |
উপকারভোগীর সংখ্যা |
|||
শিক্ষা উপবৃত্তি |
ভাতা |
প্রশিক্ষণ |
প্রশিক্ষণ উত্তর সহায়তা |
|
২০১২-১৩ |
১৩৫ |
-- |
৩৫০ |
-- |
২০১৩-১৪ |
৭৬২ |
১০৭১ |
৯৫০ |
১২০ |
২০১৪-১৫ |
৭৮৯ |
১৩০০ |
৯০০ |
৩৬০ |
২০১৮-১৯ | ১২৪৭ | ২৫০০ | ১৯০০ | ১৯০০ |
২০১৯-২০ | ১২৪৭ | ২৬০০ | ১৯২০ | - |
সেবা প্রাপ্তির স্থান/অফিসের নাম:
উপজেলা/শহর সমাজসেবাঅফিস
দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা / কর্মচারী:
উপজেলা/শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা
সেবা প্রদান পদ্ধতি (সংক্ষেপে):
বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে উপজেলা/শহর সমাজসেবা অফিসার বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন অত:পর নির্ধারিত ফরমে আগ্রহী ব্যক্তিদের সমাজসেবা অফিসার বরাবর আবেদন করতে হয় । প্রাপ্ত আবেদন ইউনিয়ন কমিটি কর্তৃক সরেজমিনে যাচাই-বাছাই করে প্রস্তাব আকারে উপজেলা কমিটিতে প্রেরণ করে। অত:পর উপজেলা কমিটি যাচাই বাছাই করে বরাদ্দ অনুসারে উপকারভোগী নির্বাচন করে। নির্বাচিত ব্যক্তির নামে ব্যাংক হিসাব খোলা এবং কেন্দ্রীয় হিসাব হতে ভাতা বা উপবৃত্তির টাকা স্থানান্তর করে নির্বাচিত ব্যক্তিকে অবহিতকরণ পূর্বক ভাতা বা উপবৃত্তি বিতরণ সম্পন্ন করা হয় ।
১৮ বছর বয়সের উর্ধ্ব কর্মক্ষম ব্যক্তিদেরকে ট্রেড ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় । প্রশিক্ষণার্থীদেরকে প্রশিক্ষণোত্তর অফেরতযোগ্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়
সেবা প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় সময়:
১. নতুন বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আবেদনের ০৩ মাসের মধ্যে;
২. পুরাতন বা নিয়মিতদের ক্ষেত্রে ০৭ কর্মদিবস
প্রয়োজনীয় ফি/ট্যাক্স/আনুষঙ্গিক খরচ:
বিনামূল্যে
সংশ্লিষ্ট আইন/বিধি/ নীতিমালা:
নির্দিষ্টসেবা পেতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী প্রতিকারকারী কর্মকর্তা
১. চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ
২. জেলা প্রশাসক, সিটি করপেরেশন / পৌরসভার ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা / আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা
৩. কর্মসূচি পরিচালক